বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ৫৮ বছর ধরে কোনও শিরোপার স্বাদ পায় না ইংল্যান্ড। গত ইউরোতে ঘরের মাঠে ওয়েম্বলিতে হাতছোঁয়া দূরে থেকেও ইতালির কাছে টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এবার বিদেশের মাটিতে বড় টুর্নামেন্টের প্রথম ফাইনাল খেলার হাতছানি। যদিও কঠিন পরীক্ষার মুখেই পড়তে হচ্ছে তাদের। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। ডর্টমুন্ডে ম্যাচটা মাঠে গড়াবে বুধবার রাত ১টায়।
ফাইনালে অবশ্য শিরোপা জয় কারও জন্যই সহজ হবে না। কারণ শিরোপা মঞ্চে অপেক্ষা করে আছে আসরের সবচেয়ে দুর্দান্ত খেলা স্পেন। তবে গতবারের মতো হৃদয় ভাঙার মতো ঘটনা নিশ্চয়ই আবার হতে দেবে না থ্রি লায়ন্স?
ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন ব্যাক টু ব্যাক ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর। তার মতে, সেটা হবে মহান কিছু। কারণ ক্যারিয়ারে এখনও বড় কোনও ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। সেটা করতে হলে ৩০ বছর বয়সীকে ছন্দে ফিরতে হবে।
চলতি টুর্নামেন্টে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের করা ৫ গোলের মাত্র দুটি করেছেন তিনি। কিন্তু শারীরিকভাবে খোলসবন্দি মনে হয়েছে তাকে। দলীয় নৈপুণ্যে যার প্রভাব পড়ছে স্পষ্টভাবে।
দুবার ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেলেও ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেছে মূলত জুড বেলিংহ্যাম ও বুকায়ো সাকা ম্যাজিক। শুরুতে প্রত্যাশার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলেও এখন সেটাতে মানিয়ে নিয়েছেন তারা।
ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেটের কথা, ‘গত আট বছর আমাদের শক্তির মূল জায়গা ছিল ভয়ডরহীন ভাবে থাকা। কিন্তু শুরুতে প্রত্যাশার ভারটা ছিল অনেক বেশি। এখন আমরা প্রত্যাশার সেই মুহূর্তেই বিচরণ করছি। যেখানে কতটুকু ভুল হতে পারে সেটা ছাপিয়ে আমাদের সম্ভাবনা কতটুকু সেটাই প্রাধান্য পাচ্ছে।’
ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেটের মতে এটাই সুযোগ ইতিহাস তৈরি করার, ‘এই মুহূর্তটা প্রতিটা খেলোয়াড়ের জন্য ভিন্নরকম। এখন ইতিহাস রচনা করার সুযোগ। বিশেষ করে প্রথম ফাইনাল খেলার সুযোগ যেটা ইংল্যান্ডের বাইরে।’
এক নজরে: ** বড় টুর্নামেন্টে চতুর্থবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ১৯৮৮ সালে ইউরোতে কমলা শিবির ৩-১ গোলে জিতেছিল। তার পর ১৯৯০ বিশ্বকাপে ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। ১৯৯৬ ইউরোতে আবার ইংল্যান্ড তাদের ৪-১ গোলে হারিয়েছে।
** সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ৯ দেখায় ইংল্যান্ড মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে। ড্র হয়েছে ৪টি, ডাচদের জয় ৪টি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.