টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কেজি প্রতি চালে ৭৫ পয়সা ঘুষের হার নির্ধারণ করে দুদকের জালে ধরা পড়েছেন উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। মিল মালিকদের নিয়ে সভা করেই এ ঘুষের হার নির্ধারণ করেন তিনি। যদিও আগে এর হার ছিল ৫০ পয়সা।
সোমবার খাদ্যগুদামে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি টিম গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার খাদ্য গুদামে চাল দিতে চাইলে মিল মালিকদের দিতে হবে কেজি ৭৫ পয়সা। সভা করে এই রেট নির্ধারণ করেন গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। আগে যেখানে মিল মালিকদের দিতে হতো ৫০ পয়সা। সভায় কথোপকথনের অডিও ফাঁস হলে সত্যতা যাচাইয়ে খাদ্য গুদামে সোমবার অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মিল মালিকদের থেকে চালের কেজি প্রতি ৭৫ পয়সা ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও নানা অনিয়মসহ চাল পরিবহনের টাকাও আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া গেছে। যে ট্রাক দিয়ে চাল গুদামে আনলোড করার কথা সেই একই ট্রাক দিয়ে চাল অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ চাল গুদামে না এসে চলে যায় অন্য জায়গায়। কাগজে-কলমে ঠিকই দেখানো হয় গুদামে আনলোড হয়েছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, তিনটি গুদামের মধ্যে দুটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। চালের বস্তা গুনে দেখা হবে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল খাদ্য নিয়ন্ত্রক রফিকুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মিল মালিক মৌখিক বা লিখিতভাবে ৭৫ পয়সা ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি জানাননি। তবে মিল মালিকদের নিয়ে সভা করেছেন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এ কথা সত্য। সভায় কথোপকথনের যে অডিও ফাঁস হয়েছে তা শুনে মনে হয়েছে ওই কণ্ঠটা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার।
দুদকের এ ধরনের অভিযানকে তিনি সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সবার মধ্যে একটা স্বচ্ছতা থাকতে হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি লুৎফর রহমান উজ্জল। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.