বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: উপসাগরীয় দেশেগুলোতে সফরের প্রথম দিনে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। জ্বালানির খোঁজে এই সফর হলেও মানবাধিকার ইস্যু আলোচনার বাইরে থাকছে না বলে জানা গেছে।
উপসাগরীয় দেশগুলো সফরের অংশ হিসেবে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস সৌদি আরবে যান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রার আগে জেদ্দায় তিনি বৈঠক করেন মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জেরে বিকল্প জ্বালানি সরবরাহকারীর খোঁজে মাঠে নেমেছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি। আসন্ন শীতকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো গ্যাসের মজুত থাকলেও সামনের দিনে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বার্লিন।
তারই অংশ হিসেবে শলৎস এই সফরে বেরিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে নতুন জ্বালানি চুক্তিতে পৌঁছার বিষয়ে একটি ঐকমত্য হবে বলে আশা করছে বার্লিন। এই সফরে শলৎসকে তাই সঙ্গে দিচ্ছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও।
তবে উপসাগরীয় দেশগুলোতে জার্মান চ্যান্সেলরের এই সফর ঘিরে মানবাধিকার ইস্যুও সামনে আসছে। বিশেষ করে সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যার প্রেক্ষিতে যুবরাজ মোহাম্মদের সঙ্গে তার বৈঠককে বেশ স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে এই বিষয়ে শলৎস আলোচনা তুলবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় ছিল। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শলৎস বলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত সব প্রশ্ন নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।
তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে খাশোগজিকে হত্যার বিষয়ে জার্মান সরকার বরাবরই কঠোর নিন্দা জানিয়ে এসেছে। শলৎসের সফরেও বিষয়টিকে যে এড়িয়ে যাওয়া হবে না সরকারের পক্ষ থেকে তা আগেও জানানো হয়েছিল। (সূত্র: ডয়েচে ভেলে)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.