জীবন সংগ্রামী সফল নারী ইসমেআরা রাওমান

 

নাটোর প্রতিনিধি: জীবন সংগ্রামী একজন সফল নারী ইসমেআরা রাওমান। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে, সততা ও পরিশ্রম করলে জীবনে সফল হওয়া যায় তারই উদাহরণ ইসমেআরা রাওমান। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে অনলাইন অফলাইন ব্যবসা শুরু করে এখন সে সফল উদ্দোক্তা।
গত তিন বছরে তিনি ১৫ লক্ষ টাকার বিজনেস করেছেন। তার এখন ৩০ জন কর্মী কাজ করছে। যাদের কেউ কেউ নিজেকে উদ্দোক্তা হওয়ার ও স্বপ্ন দেখছেন। তার অনলাইন পেজের নামঃ ইসমেআরা ইচ্ছে কালেকশন।
বর্তমানে হ্যান্ডপেন্ট, নকশিকাঁথা, হাতে নকশা করা বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, থ্রি পিস, ব্লক, বাটিকের কাজ ও করে থাকেন। পুঁথির তৈরি ব্যাগ, শো পিস, উলের তৈরি পারপোস, পাটের তৈরি টেবিল ম্যাথ বিক্রয় করে থাকেন। সব ধরনের আচার তৈরি করেন তিনি। পণ্যের গুনগত মান ভালো থাকায় তাকে পিছু থাকাতে হয়নি। হরেক রকম সুন্দর সুন্দর কাজের সমাহার রয়েছে।
তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনাকালিন সময় যখন স্কুল বন্ধ, বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাবার প্রয়োজন ছিলো না। ভাবলাম এভাবে সময় গুলো অলস না কাটিয়ে কিছু একটা করা দরকার। এজন্য অনলাইন পেজ খুলে অনলাইনে অর্ডার নিতে শুরু করি। প্রথমে কুশিকাটা শুরু করি।
২০১৪ সালে সিংড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক নির্বাচিত হয়ে কাজ করছেন। উদ্দোক্তা হিসেবে পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা ও সনদ। পারিবারিক জীবনে তিনি স্বামী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী। বিয়ে হয়েছে ২০০১ সালের ৭ ই ফেব্রুয়ারি। ছেলের নাম মোঃ রাফিউল্লাহ বিশ্বাস। পড়াশোনা করছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার টেকনোলজিতে ।মেয়ের নাম নিশাত তাসনিম ইয়্যাশা। দ্বিতীয় শ্রেণীতে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে পড়ে। স্বামী শহীদুল্লাহ্ বিশ্বাস। স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ থাকায় সংসারের পুরো দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি বলেন, বাবা সংসার জীবন ফেলে অন্যত্র চলে যাওয়ায় মা ও আমি সংসার দেখাশোনা শুরু করি। ছোটবেলায় বিয়ে হয়। কিন্তু নিজে কিছু করার প্রত্যয় আমাকে সবসময় পীড়া দিতো। এজন্য কখনো হতাশ হয়নি, থেমে থাকিনি। দ‚ঢ পায়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি।
ইসমেআরা আরো বলেন, আমার পড়াশোনা পুরোটাই শ্বশুর বাড়িতে। দিনে কাজ করেছি রাত জেগে পড়াশোনা করেছি তবে স্বামীর সাপোর্ট ছিল বলে এতো দুর এগিয়ে এসেছি। ওর অবদান ও অনেক। সাপোর্ট না করলে এতো দ‚র আসতে পারতাম না। পড়াশোনা ও করতে পারতাম না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.