জার্মান ইসরাইলের পক্ষ নেওয়ায় বৈঠকে এক হাত নিলেন এরদোগান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দাবি করেছেন, বিশ্বে ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন। শুক্রবার বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গাজায় ইসরাইলে যুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা করায় এরদোগান জার্মানিতে পৌঁছানোর পর তোপের মুখে পড়েন। এ যুদ্ধে প্রায় ১২০০ ইসরাইলি ও ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শলৎজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান জানান, তিনি সব ধর্মকেই সমানভাবে দেখেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, হাসপাতালে ঢুকে গুলি করা অথবা শিশুদের হত্যা করার কথা তোরাহতে নেই। আমাদের জন্য এই অঞ্চলে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা উচিত নয়। আমি ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমি একজন নেতা যিনি এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছি।
জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষ অবৈধ। কারণ এ দেশটিতেই ইহুদিরা গণহত্যার শিকার হন। এরদোগান মনে করেন, এ জন্যই জার্মানি স্বাধীনভাবে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে পারছে না।
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎজের উদ্দেশে এরদোগান করেন, জার্মানি ইসরাইলের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে হলোকাস্ট (গণহত্যা) চালিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের প্রতি তুরস্কের কোনো দায় নেই। এ কারণে তারা প্রকাশ্যে যা খুশি তাই বলতে পারেন।
এ ব্যাপারে এরদোগান বলেন, ‘ইসরাইলের কাছে আমাদের কোনো দায় নেই। এ কারণে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। যদি আমাদের দায় থাকত, আমরা স্বাধীনভাবে কিছু বলতে পারতাম না। কিন্তু যাদের আছে (জার্মানিসহ গণহত্যায় অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশ) তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.