বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে তারা জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। তবে জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি কোনো সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও সতর্ক করেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত মার্চে অনিয়মের অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হন তিনি। দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় কেজরিওয়ালকে জেরা করার জন্য ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি আসেননি। এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে।
বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে জামিন পেতে পারেন কেজরিওয়াল। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপংকর দত্তর বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা বলেছেন, কেজরিওয়াল স্বভাবগত অপরাধী নন, বারবার অপরাধ করার নজিরও তার নেই। তিনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। এখন ভোট চলছে। তাতে প্রচারের অধিকার তার আছে। ভোট না থাকলে হয়তো জামিন দেওয়ার প্রশ্ন উঠত না।
বিচারপতিরা বলেন, তাকে জামিন দিলে অন্য সংকট তৈরি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তা সরাতে পারেন। তাই জামিন দেওয়া হলেও কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনো ফাইলে সই করতে পারবেন না।
কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, আবগারি নীতিসংক্রান্ত কোনো সরকারি নথিতে সই করবেন না তিনি। তবে বিচারপতিরা বলেন, ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, ‘আমরা চাই না, তিনি কোনো রকম সরকারি কর্তব্য পালন করুন। সরকারি কাজে কোনো রকম হস্তক্ষেপ হোক, তা আমরা চাই না।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.