নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী শহরের মতিহার থানাধীন ভাল্লুক পুকুর এলাকায় ২৩ মার্চ জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২৪ মার্চ সকালে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তার ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম (৫৫) কে পিটিয়ে রক্তাত জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৫ মার্চ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার হন এবং ২৩ মার্চ জামিনে মুক্তি পান। জামিন পাওয়ার পর, আবুল কালাম সন্দেহের বশে মনিরুল ইসলামের দোকানে গিয়ে তাকে গালিগালাজ করেন এবং দোকানের মালামাল নষ্ট করেন। প্রতিবাদ জানালে, আবুল কালামের মেয়ে ও ভাতিজা মোঃ রহমত (৪০) পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মনিরুল ইসলামকে মারধর করেন, যার ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা মনিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হামলার নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া, এর আগে গত ১৫ মার্চ রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আবুল কালামের পক্ষে-বিপক্ষে থানার ভেতরে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িছিলেন বিএনপির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। পরে আসামিকে থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় তিনি কৃষক দলের এক নেতাকে লাথি মারেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি বোয়ালিয়া থানার ভেতরে ঘটে।
আবুল কালাম আজাদের (৫৫) বাড়ি নগরের বালিয়াপুকুর এলাকায়। তিনি বিসিআইসির সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার সাবেক সভাপতি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উষামা বিন ইকবাল নামের একজন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ৬৫ নম্বর আসামি আবুল কালাম আজাদ।
মনিরুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দুপুরে শালবাগান প্রফেসর পাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে আবুল কালামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মনিরুল ইসলামের আরেক ভাই সাইদুর রহমান, ট্রাক- কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির আহ্ববায়ক ও কৃষক দলের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন সরকার টিটু এবং ট্রাক- কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ন আহ্ববায়ক মো: হেলাল হোসেন।
এ বিষয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম বলেন, “ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে আমি এবং আমার মেয়ে ভাল্লুক পুকুর এলাকায় আমার ছোট ভাই মনিরুল ইসলামের কাছে গিয়ে ছিলাম। সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাই ও তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর ফলে আমি ও আমার মেয়ে আহত হই। পরে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এরপর আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
”এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক বিটিসি নিউজকে জানান, মারপিটের ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা হবে। তদন্তের পর সত্যতা অনুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.