জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলের হাতে মা খুন

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে মা মঞ্জিলা বেগম জিরার (৫০) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের চন্দ্রা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক গাছ ব্যবসায়ী।
নিহত মঞ্জিলা বেগম জিরার ছোট ছেলে জীবনের স্ত্রী তানিয়া বলেন, তার শাশুড়ি মঞ্জিলা বেগম জিরা নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাতে গতকাল কম্পপুর এলাকার গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মন্ডলের কাছে ১৬ হাজার টাকায় নিজ বাড়ির তিনটি গাছ বিক্রি করেন এবং অগ্রীম ৯ হাজার টাকা বুঝে নেন।
মঙ্গলবার সকালে ফরিদ মন্ডল (৪৫) ও তার লোকজন গাছ কাটতে আসলে বড় ছেলে মঞ্জু (৪০) বাধা দেয়। মঞ্জু তার মাকে বলে আরও বেশী দামে গাছ বিক্রি করা যাবে কিন্তু এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফরিদ মন্ডলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে মঞ্জু।
এ সময় ছেলেকে বাধা দিলে মাকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তানিয়া আরও জানান, মঞ্জুকে ফেরাতে গেলে সে উল্টো আমাকে ছুড়ি নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় আমি বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনি। বাড়িতে লোকজন আসতে দেখে মঞ্জু পালিয়ে যায় এবং দেখি আমার শাশুড়ি রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা আহত গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মন্ডলকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বামী পরিত্যাক্তা মঞ্জিলা বেগম জিরা চন্দ্রা এলাকায় তার নিজ বাড়ীতে মঞ্জু ও জীবন নামে দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার বড় ছেলে মঞ্জু মাদকাসক্ত ছিলো, এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। প্রথম স্বামী তোতা মিয়ার সাথে তালাক হয়ে গেলে মঞ্জিলা বেগম জিরার সাথে চন্দ্রা এলাকার কামরুল ইসলামের বিয়ে হয়। কিন্তু পরে আবারও তার তালাক হয়ে যায়। বড় ছেলে মঞ্জু ও মেয়ে তাসলিমা প্রথম স্বামীর সন্তান। দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে জীবন নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আনিছুর আশেকীন বিটিসি নিউজকে জানান, গাছা কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলে তার মাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ হয়েছে। আহত গাছ ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যাকারীকে আটক করতে অভিযান চলছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর জামালপুর প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.