বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার জব্দ করা আর্থিক সম্পদ থেকে যে আয় হচ্ছে, সেই অর্থ এবার ইউক্রেনকে যুদ্ধসহায়তা হিসেবে দেওয়া হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে। এরইমধ্যে এ প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়ে গেছে। একই পথে হাঁটছে পশ্চিমা মিত্র জাপানও।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন, জাপান জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদ থেকে ইউক্রেনে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করতে প্রস্তুত।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে এক ফোন কলে, জেলেনস্কি ইউক্রেনে জাপানের পূর্ববর্তী সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এখন পর্যন্ত জাপান মোট ১২ বিলিয়ন ডলার কিয়েভের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। জেলেনস্কির মতে, এতে হাজার হাজার জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে ক্রিসমাসের রাতে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ব্যাপক গোলাগুলির বিষয়ে বলেছিলাম এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনের দিকে কাজ করার জন্য জাপানের প্রস্তুতির জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইউক্রেন ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের গ্রোথ ফাউন্ডেশনস ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন (ডিপিএল) প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাপান এবং যুক্তরাজ্য থেকে১ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। তহবিলগুলো ইউক্রেনের জনগণের সামাজিক এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে বরাদ্দ হবে।
বড় দিনে রাশিয়ার হামলার সমালোচনায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ, পুতিন ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণের জন্য বড়দিনকে বেছে নিয়েছেন। এর চেয়ে অমানবিক আর কী হতে পারে? ব্যালিস্টিকসহ ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন হামলা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য আমাদের জ্বালানি অবকাঠামো। তারা ইউক্রেনে ব্ল্যাকআউটের জন্য যুদ্ধ করছে।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.