জনসাধারনের চলাচলে সীমাহিন দূর্ভোগ আদমদীঘির বনতইর -আবাদপুকুর গ্রামীন কাঁচা সড়ক স্বাধীনতার ৪৮বছরেও পাকাকরণ করা হয়নি


বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির প্রত্যন্ত অঞ্চল চাঁপাপুর ইউনিয়নের বনতইর ছাতারবাড়িয়া ও সিংগাহার হয়ে আবাদপুকুর পর্যন্ত প্রায় ৮কিলোমিটার গ্রামীন মেঠোপথের কাঁচা সড়কটি স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকাকরণ না হওয়ায় জনসাধারন সীমাহিন দূভোগে পড়েছেন।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, রিক্সা ভ্যান ও হাটবাজারে ধান চাল ও তরিতরকারী বহনে নানা সমস্যা পড়তে হয় বেশি। এলাকাবাসির আবেদনের কারনে জনপ্রতিনিধিরা পাকা করনের আশ্বাস দিলেও এখনও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বনতইর ছাতারবাড়িয়া ও সিংগাহার গ্রাম হয়ে রানীনগরের আবাদপুকুর হাট পর্যন্ত প্রায় ৮কিলোমিটার সড়কটি স্বাধীনতার পর স্থানীয়রা সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাঁচা সড়ক নির্মান করে জনসাধারনের চলাচলের ব্যবস্থা করেন।

এই গ্রামীন মেঠোপথের কাঁচা সড়ক দিয়ে আদমদীঘির বিহিগ্রাম, বনতইর, ছাতারবাড়িয়া, সিংগাহার, আবাদপুকুরসহ ১০টি গ্রামের লোকজন ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের উপজেলা সদর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই কাঁচা সড়কটি। বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদামাটি ও খরা মৌসুমে ধুলাবালিতে সয়লাব হয়ে পথচারীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

এলাকার পলাশ, হোসেন আলী মাস্টার , সিদ্দিকুর রহমান,মোহাম্মাদ মন্ডল,আফজাল হোসেন, আফসার সরদার, মুনছুরসহ অনেকের জানান, স্বাদীনতার পর থেকে এই জনগুরুত্তপূর্ন সড়কটি পাকা করনের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এদিকে কেউ নজর রাখেন না।

নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা অবহেলিত এই সড়কটি পাকা করনের আশ্বাস দিয়ে ভোট আদায় করলেও নির্বাচিত হওয়ার পর আর তাদের দেখা মিলেনা। বর্তমান সরকার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করলেও স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এই জনগুরুত্বপূর্ন বনতইর ছাতারবাড়িয়া ও সিংগাহার হয়ে আবাদপুকুর পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি পাকা করনের ব্যবস্থা হয়নি।

এলাকাবাসি অবিলম্বে সড়কটি পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন জানান, সড়কটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.