চীনের সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির শাসক জান্তার কাছ থেকে চীনে একটি লাভজনক সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া ও একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
অক্টোবরে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র জোট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করার পর চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
গোষ্ঠীগুলো কয়েক ডজন সামরিক অবস্থান ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর দখল করেছে। তারা জান্তার জন্য বাণিজ্যের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)- তিনটি সহযোগী গোষ্ঠীর একটি- কিইন সান কিয়াওত সীমান্ত গেট দখল করেছে বলে গ্রুপটির সঙ্গে জড়িত একটি স্থানীয় মিডিয়া আউটলেট জানিয়েছে।
রোববার কোকাং নিউজ জানিয়েছে, ‘এমএনডিএএ জানিয়েছে, তারা রোববার সকালে মিউজ জেলার মংকো এলাকায় কাইন সান কিয়াওত নামে আরও একটি সীমান্ত বাণিজ্য গেট দখল করেছে।’
আরাকান আর্মি (এএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) সহ অন্যান্য জোট শুক্রবার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলে অন্যান্য অবস্থান নিয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, এমএনডিএএ কিইন সান কিয়াউতে সীমান্ত বাণিজ্য অঞ্চলে তার পতাকা উত্তোলন করেছে।
মহামারির পরে ২০২২ সালে গেটটি পুনরায় খোলা হয়েছিল ও এটি মায়ানমার-চীন সীমান্ত বরাবর একটি প্রধান বাণিজ্য পয়েন্ট।
সপ্তাহের শুরুর দিকে জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় মিডিয়াকে বলেছিলেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে পার্ক করা প্রায় ১২০টি ট্রাক আগুনে জ্বলে উঠেছিল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছিল।
যুদ্ধের ঊর্ধ্বগতি মিয়ানমারের ইতিমধ্যেই সংগ্রামরত অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সামরিক বাহিনীকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ট্যাক্স ও বৈদেশিক মুদ্রা ত্যাগ করেছে।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিইন সান কিয়াওত ক্রসিং দিয়ে যাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কৃষি ট্রাক্টর ও ভোক্তা সামগ্রী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.