চীনের মধ্যস্থতায় থামবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে চার আরব দেশ। মধ্যপ্রাচ্যে এর আগেও চীনকে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গেছে। যে কাজ কেউ করতে পারেনি, সেই কাজই করে দেখিয়েছেন শি জিনপিং। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের দুই শত্রু সৌদি আরব ও ইরান গত বছরের মার্চে হাত মেলায়। তাই ইসরায়েলকে রুখতে চীনের এই প্রচেষ্টাও সফল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। সমাধানের কোনো পথই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্ব নেতারা। এবার তাই মাঠে নেমেছে চীন। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আগের সুখকর স্মৃতি নিয়ে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বেইজিংও। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে চীন যাচ্ছেন চার আরব দেশের নেতা। সেখানেই মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিকতম এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, চীন-আরব রাষ্ট্র সহযোগিতা ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের ১০ম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হবেন ওই চার আরব নেতা। এর মধ্যে রয়েছে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিও। আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল মিসর। আবার গাজার সঙ্গে দেশটির সীমানাও রয়েছে। তাই মিসরকে ছাড়া এই সংকট সমাধানের কোনো পথ খোলা নেই।
সিসি ছাড়াও বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ, তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেং লি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি এই ফোরামে যোগ দেবেন এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়া চার আরব নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনাও করবেন শি জিনপিং।
চীনের শীর্ষ এই কূটনীতিক লি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে চীন এবং আরব দেশগুলোতে সমস্বরে আওয়াজ তুলবে। গেল কয়েক বছর ধরে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে চীন। এরই ধারাবাহিকতায় ইরান-সৌদির সম্পর্ক জোড়া লাগাতে সক্ষম হয় বেইজিং। চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিসর সফরে গিয়ে সিসির সঙ্গে দেখা করেন।
ফিলিস্তিনের হয়ে কথা বলার ইতিহাস রয়েছে চীনের। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধান করে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার সমর্থক বেইজিং। তাই ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত নিরসনে চীন মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন শি জিনপিং। সংঘাত বন্ধে গেল নভেম্বরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, সৌদি আরব ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় বসিয়েছিল বেইজিং। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.