চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে অবৈধ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা দখলের প্রচেষ্টা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শনিবার দুপুরে নগরের প্রাচীণতম চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার দখলের জন্য অবৈধ বৌদ্ধ সমিতির কর্মকর্তারা শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে হামলা চালায়।
এসময় তারা চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের নীচ তলায় রক্ষিত বুদ্ধমূর্তি ভাংচুর করে কক্ষ দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। বিহারে অবস্থানরত আবাসিক ভিক্ষুদের কক্ষ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় এবং ভিক্ষুদের মারধর করে।
এতে হামলায় ৫ জন ভিক্ষু গুরুতর আহত হন।
আহত ভিক্ষুরা হলেন, ভদন্ত করুণানন্দ মহাথেরো, ভদন্ত অগ্রলংকার থেরো, ভদন্ত উত্তমানন্দ মহাথেরো, ভদন্ত রাহুলবোধি থেরো, ভদন্ত ত্রিপুরানন্দ থেরো। বর্তমানে আহত ভিক্ষুরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সন্ত্রাসী কায়দায় ভিক্ষুদের আবাসিক কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দখলের অপচেষ্টা চালান। বৌদ্ধ মন্দির ও ভিক্ষুদের উপর হামলার সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পরলে হাজার হাজার বৌদ্ধ নর নারী বৌদ্ধ বিহারে জড়ো হতে থাকে।
একপর্যায়ে অবৈধ দখলবাজ বৌদ্ধ সমিতির অবৈধ ও কথিত নেতারা বৌদ্ধ নর নারীদের রোষানলে পরে এবং পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তারা বৌদ্ধ বিহার ত্যাগ করে। অবৈধ বৌদ্ধ সমিতির কথিত বৌদ্ধ নেতাদের কর্তৃক বৌদ্ধ বিহার ও ভিক্ষুদের উপর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিবাদ সভা বিকাল চারটায় বৌদ্ধ বিহারের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও একুশে পদকে ভূষিত ড. জিনবোধি ভিক্ষু, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাথেরো, সাবেক মহাসচিব ধর্মদূত এস লোকজিৎ মহাথেরো, ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাথেরো, ভদন্ত মৈত্রীপ্রিয় মহাথেরো, ড. দীপংকর থেরো, এস ধর্মবোধি থেরো, অধ্যক্ষ ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া, স্থপতি বিজয় তালুকদার, সরোজ বড়ুয়া, শেলী বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম লিয়াকত হোসেন, স ম জিয়াউর রহমান, জেবিএস আনন্দ বোধি ভিক্ষু প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও ভাংচুর এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ মে রবিবার বিকাল চারটায় বৌদ্ধ বিহারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার দায়ক দায়িকাবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. ম. জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.