চট্টগ্রামে সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ: আগামী ৭ দিনের মধ্যে মিস্টির উপর ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আজ ১৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মিষ্টি ও বেকারী পণ্যসহ অন্যান্য আইটেমের ভ্যাট ১৫% বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন সংগঠনের সভাপতি শহীদুল্লাহ কোরাইশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সুইটস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কফিল উদ্দিন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছালেহ আহমেদ সুলেমান, এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল কিবরিয়া, উপদেষ্টা আলহাজ্ব নুরুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলাউদ্দীন আল হাসেম, দপ্তর সম্পাদক এম.এ সবুর, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক নীলাদ্র কুমার দে, কাজী মনিরুল ইসলাম উজ্জ্বল, আ.ই.মু. তালেব, সঞ্জয় আচার্য, মুজিবুর রহমান, হারাধন দত্ত, জিয়া উদ্দীন আল মামুন, কলিমুল্লাহ ও মোঃ আবু বকর সিদ্দিক।
বক্তারা বলেন, ফুড প্রসেসিং সেক্টর বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনাময় সেক্টর। এই সেক্টরে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্নভাবে জড়িত। বিশেষ করে কর্মসংস্থান, কাঁচামালের যোগানদাতা ও এদেশের কোটি কোটি কৃষক। এই সেক্টর ধ্বংস হলে কোটি কোটি মানুষ বেকার হবে, সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ঘাটতির সৃষ্টি হবে। কেননা এই সেক্টরে অনেক পণ্য বিদেশেও রপ্তানী হয়।
আমরা সবসময় সরকারের সকল আইন-কানুন মেনে নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা করে থাকি। এরপরেও কিছু কুচক্রি মহলের অপতৎপরতায় বর্তমান এই শিল্প রুগ্ন শিল্পে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। জ¦ালানী গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি, সেই সাথে ময়দা, পাউডার দুধ, চিনি, তৈলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের অব্যাহতভাবে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নাভিশ্বাস উঠেছে। ইতিমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরো অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। তাই আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ভ্যাটের হার ৫% বা তারও নিচে নিয়ে এসে ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে ফ্যাক্টরী বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকবে না।
যারা নিয়মিত ভ্যাট দেন তাদের ভ্যাটের হার বৃদ্ধি না করে, যারা এখনও ভ্যাটের আওতায় আসেনি তাদেরকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা এবং নতুন নতুন ভ্যাটের খাত সৃষ্টির মাধ্যমে ভ্যাট আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরকারের রাজস্ব আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের তৈরী বেশীরভাগ পণ্য নিম্ন বিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তরা গ্রহন করে। ১৫/২০/২৫/৩০ টাকার পণ্যগুলো ভ্যাটসহ জ¦ালানী ও অন্যান্য উপকরনের দাম বাড়লে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাবে। যৎ কারণে একটা সংকটের সৃষ্টি হবে। এই সংকট সৃষ্টি হলে মানবিক বিপর্যয়ও ঘটবে। যেটার দায় সরকার কোনক্রমে এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই শিল্পটি শ্রমঘন শিল্প। এই শিল্পের বিপর্যয় ঘটলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশাল একটি প্রান্তিক জনগোষ্টির জীবন জীবিকার উপর আঘাত আসবে। সরকারের উচ্চ ভ্যাট নীতির কারণে এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
এসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ কোরাইশী সরকারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মিস্টি ও বেকারী পণ্যের উপর ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করে সর্বনি¤œ হারে ভ্যাট নির্ধারণের দাবি জানান। অন্যথায় সংগঠনের উদ্যোগে জনমত সৃষ্টি করে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. ম. জিয়াউর রহমান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.