চট্টগ্রাম ব্যুরো: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালত। এছাড়া আদালত আসামিকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।
মো. সুমন (৩৫) ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জারহাট এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, চার বছর আগে নিজ এলাকার মনি আক্তারের সঙ্গে প্রেমের পর বিয়ে করে সুমন। সে এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিল, তবে তা গোপন রাখে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য মনি আক্তারকে নির্যাতন করতো।
সুমনকে একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও নির্যাতন থামেনি। এ অবস্থায় ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মনিকে তার পৈতৃক বাড়ি ভুজপুরে নিয়ে আসে সুমন। সেখানে গিয়ে টাকা চেয়ে না পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরার পথে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ভুজপুর থানাধীন কালিকুঞ্জ এলাকায় এসে সুমন তার স্ত্রীকে নির্মম নির্যাতন করে। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। ২৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মনি আক্তার।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর মনি আক্তারের ভাই মো. আব্বাস বাদি হয়ে মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, আসামি সুমনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীসহ গর্ভজাত সন্তানকে খুন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আসামিকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স. ম. জিয়াউর রহমান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.