খুলনা ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর সামনের অংশ ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা, খুলনা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। আজ সন্ধ্যার পরপরই এর মুল কেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা ও খুলনা উপকূলে সরাসরি আঘাত করতে যাচ্ছে।
এটি আজ বিকেল ৫ টায় সাতক্ষীরা উপকূল থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো, এটি আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়া আকারে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতথ্য জানিয়েছে Bangladesh weather observation team. রেমাল এর সেন্টার অতিক্রম করার সময় দীঘা, ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট উপকূলে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বা এর চেয়েও বেশি বেগে ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতেপারে। এবং সেইসঙ্গে এইসকল এলাকায় অদূরবর্তী ও দূরবর্তী দ্বীপ ও চর স্বাভাবিক জোয়ার অপেক্ষা ৭ থেকে ৯ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতেপারে। মংলা ও পায়রা বন্দরে ১০ ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৯ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত বহাল রেখেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, হাতিয়া, ভোলা, পটুয়াখালী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘন্টায় ৮০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ও নোয়াখালী থেকে কক্সবাজার উপকূলে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্রো সন্ধ্যার পর উপকূল অতিক্রম শুরু করবে ও পুরোপুরি কেন্দ্রো অতিক্রম করতে গভীর রাত হয়ে যাবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বেশ স্লো গতিতে অতিক্রম করার ফলে ঝড়ো হাওয়া বেশিক্ষন স্থায়ী হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় টি উপকূলে ওঠার পর এটি ক্রমাগত ভারি বৃষ্টি ঘটিয়ে উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতেপারে ও ধীরে ধীরে শক্তি হারাতে থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় এর সেন্টার দেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর, যশোর ও নড়াইল এর মাঝামাঝি স্থান দিয়ে মাগুরা, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ শেরপুর জেলা হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
এটি প্রভাবে দেশের উপকূলে দমকা হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হলেও দেশের মধ্য ও উত্তর অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হতেপারে আজ মধ্য রাত হতে আগামীকাল সকালের পর পর্যন্ত।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.