ঘূর্ণিঝড় রেমাল: এখনো শান্ত হয়নি উপকূল

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পুরো শক্তি নিয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ হয়েছে, ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানিও হয়েছে। তবে এখনো শান্ত হয়নি উপকূল। তীব্র বাতাস এবং বৃষ্টি চলমান রয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও বাস্তবে বাতাসের তীব্রতা গতকাল রবিবার রাতের মতোই।
সরেজমিনে কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ থেকে ৫ ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল বেগে বাতাস বইছে। স্থানীয়দের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজমান রয়েছে।
পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি তা এখনো পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। জোয়ারে মাছের ঘের ভেসে গেছে। আধাপাকা ঘর-বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুয়াকাটা সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে গতরাতেই। ২০০৭ সালের সিডরের পরে এত ভয়াবহতা আগে দেখিনি। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত একটানা ঝড় চলছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল পায়রা বন্দর উপকূল ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে। তবে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা আরও কয়েক ঘণ্টা চলমান থাকতে পারে। এবং সমুদ্রের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফিট বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পটুয়াখালী প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম নজরুল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.