ভোলা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ভোলা জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে বেশী ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় পাঁচ শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের খেত।
জেলার সাত উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রথামিক তথ্যে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলায় ১০টি ঘর পুরোপুরি ও ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৫টি ঘর, লালমোহনে ৫০টি, মনপুরায় ৫২টি এবং চরফ্যাশনে ২১৯টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় সব উপজেলায় আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ আঘাত হানে ওই ইউনিয়নে। এটা অনেকটা টর্নেডোর মতো ছিল। পরে ঘূর্ণিঝড়টি ঢালচরের পূর্ব দিক দিয়ে ইউনিয়ন অতিক্রম করে। এতে ঢালচর ইউনিয়নের বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় ও গাছপালা উপড়ে যায়। কিছু মাছ ধরার ট্রলারও ডুবে যায়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়।
একই উপজেলার চরকুকরি-মুকররি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বিটিসি নিউজকে জানান, ঝড়ে ওই ইউনিয়নের বহু ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গাছের ওপর ফেলেছে। কয়েকটি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বিটিসি নিউজকে জানান, মূলত দুপুরের আগথেকে বিকেল পর্যন্ত ভোলায় ঝড়টির তাণ্ডব চলে। এ সময় ভোলায় অনেক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনপুরায় তিন জেলে নিখোঁজ থাকার দুই ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করা হয়। জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করছেন। এখনো সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ভোলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ এনামুল হক। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.