গাজায় ৪০০ স্থাপনায় হামলার দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা সাতদিনের যুদ্ধবিরতির পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৪০০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আকাশ, নৌ এবং স্থল বাহিনী গাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফাইটার জেট খান ইউনিসে ৫০ এর বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে এক মসজিদকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল বলছে, ওই মসজিদ ইসলামিক জিহাদ অপারেশনাল কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতো। 
তবে আইডিএফের এ দাবি বিবিসির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৭৫ জন নিহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০ জন। আহত হয় তিন হাজারের বেশি। সেইসময়ে ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাসের যোদ্ধারা।
এরপরে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। টানা প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হামাস ও ইসরায়লের যুদ্ধের পর উভয়পক্ষ প্রথমে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়। এরপর দুইধাপে আরও তিনদিন বাড়ানো হয়। গতকাল সকালেই সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপরেই উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.