বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আকার না কমানোর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এমন নীতির কারণে এই যুদ্ধ শেষে গাজার ভেতরে যে কোনো ধরনের বাফার জোন তৈরির বিরোধিতা করার কথা জানিয়েছে দেশটি। কেননা এতে ২৩ লাখ মানুষের গাজার আয়তন আরও কমে যেতে পারে।
গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকার ভেতরে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চায় ইসরায়েল। এরই মধ্যে যুদ্ধপরবর্তী এই পরিকল্পনার কথা বেশ কয়েকটি আরব দেশকে জানিয়ে দিয়েছে তেলআবিব। মূলত গাজা থেকে নতুন হামলা ঠেকাতে এই বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতি হলো ঘনবসতিপূর্ণ এই উপত্যকার আকার কমানো যাবে না। তাই গাজার ভেতরে যদি কোনো বাফার জোন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলে তা এই নীতির লঙ্ঘন হবে। আর আমরা এমন কিছুর বিরোধিতা করব। এটা যদি ইসরায়েলি ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো কিছু হয় তাহলে আমি এ নিয়ে কিছু বলব না। এই বিষয়ে ইসরায়েলিরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এমন নজিরবিহীন হামলার জবাবে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এরই মধ্যে ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.