শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জিগাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জিগাবাড়ি গ্রামের আবদুল হাকিম সাইদার (৪৫), তার স্ত্রী পারুল বেগম (৩৮), বড় ছেলে ফারুক মিয়া (২১) ও ছোট ছেলে রিপন মিয়া (১৬)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ শনিবার সকালে আবদুল হালিম তার দুই ছেলেকে নিয়ে ওই জমিতে জমে থাকা কচুরিপানা সরাতে গিয়ে কচুরিপানার নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় বোতল সাদৃশ্য বস্তু (মর্টারশেল) পান। পরে সেটি গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে এনে খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে দা দিয়ে ওই বস্তুটিতে আঘাত করলে এটি বিস্ফোরিত হয়। এতে আবদুল হালিম ওরফে সাইদারের একটি পা, বড় ছেলে ফারুকের হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই সাথে ছোট ছেলে রিপনের চোখ ও স্ত্রী পারুল বেগমের গাঁ ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বিস্ফোরিত বস্তুটি সম্ভাব্য মুক্তিযুদ্ধকালের অবিস্ফোরিত একটি ‘মর্টারশেল’ ছিল। এটি কচুরিপানার নিচে ছিল। আহত আবদুল হালিমসহ তার পরিবার সেটি চিনতে পারেনি।
বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান। তিনি জানান, এ ঘটনায় আশপাশের কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। সম্ভবত তারা গুপ্তধনভেবে ওই কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুটি খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ওই বস্তুটিতে দা দিয়ে আঘাত করলে এটি বিস্ফোরিত হয়। এটি আসলে মর্টারশেল কি না? বোম বিশেষজ্ঞ দল এসে পরীক্ষার পর সেটি জানা যাবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.