প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। পুরো ভবনে তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতির রুম থেকে দুটি হরিণের শিং, একটি জেব্রা ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ সময় সন্দেহভাজন আরও ৪ জন আটক হয়। তাদের কাছে থাকা তিন লাখ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোনসহ বেশকিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
তেজগাঁও জোনের এডিসি সাইরুল কবির এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় চুরির মামলা করা হবে। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি হলেন জ্যোতি। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।
পরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আবু তাহের মিয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জ্যোতির ৪ দিনের রিমান্ডের আজ শেষ দিন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.