খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্ত্রীর ৮ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী, বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তাদের ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে। খুলনার আইএফআইসি ব্যাংকের একক হিসাবেই ৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া, এনসিসি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একাধিক হিসাব, স্থায়ী আমানত (এফডিআর) এবং সঞ্চয়পত্রও অবরুদ্ধ করা হয়েছ।
২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
দুদকের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং একাধিক ঠিকাদারি কাজের আর্থিক লেনদেনের অনিয়মে জড়িত ছিলে। এছাড়া, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুদক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক নথিপত্র, ব্যাংক হিসাব বিবরণী এবং ক্যাশ বই জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে, যা খুলনার বিভিন্ন থানায় নথিভুক্ত হয়েছ। দুদকের অনুসন্ধানী দল তাদের আয়কর নথি, ব্যবসায়িক লেনদেন, ঠিকাদারি কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখছে। তদন্তের প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে আরও সম্পদ অবরুদ্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হচেছ লুটপাটে শতকোটি টাকার মালিক খালেক।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.