খাচ্ছি হালাল না হারাম আদমদীঘিতে পরীক্ষা ছাড়াই যত্রতত্র গবাদিপশু জবাই

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় প্রায় সর্বত্র সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে কোন প্রকার ডাক্তারি ও স্যানেটারি পরিদর্শকের পরীক্ষা না করেই ও অনেক কসাই ইসলাম শরিয়ত সম্মত ভাবে ছাড়াই যত্রতত্র গবাদিপশু জবাই করে দেদারছে মাংস বিক্রি চলছে। ইসলাম শরিয়ত সম্মত ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা আমরা যে মাংস খাচ্ছি তা হালাল না হারাম এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গবাদিপশু জবাইয়ের আগে ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবাই শেষে স্যানেটারি পরিদর্শকের ছাড়পত্র নিয়ে জবাইকৃত গবাদিপশুর মাংস বিক্রি করার বিধান থাকলেও অত্র উপজেলায় তা মানা হচ্ছেনা। উপজেলা সমন্বয় ও আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় বারবার বিধিমতে পশু জবাই ও পরিচ্ছন্নতার সাথে মাংস বিক্রির প্রস্তাব করা হলেও রহস্যজনক ভাবে কৃর্তপক্ষ তা বাস্তবায়ন না করায় দিনদিন নিয়মবহিভুত ভাবে গবাদিপশু জবাই ও মাংস বিক্রির প্রবনতা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রাপ্ততথ্যানুসারে বগুড়ার আমদদীঘি সদর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, নসতরপুর, মুরইল, কড়ই, বিহিগ্রাম, পশ্চিম সিংড়া ঢাকারোড, সাওইল, কুন্দগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে মাংস বিহীন দিবস না মেনেই সপ্তাহের প্রতিদিনই গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি চলে।

সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় পশু জবাইয়ের কোন নিধারিত সেট নেই। সেই অজুহাতে উপজেলার অধিকাংশ কসাই লোক চক্ষুর অন্তরালে প্রানি সম্পদ কর্মকর্তার ছাড়পত্র ও স্যানেটারি পরিদর্শকের অনুমোদন বিহীন যত্রতত্র রোগাকান্ত গবাদিপশু জবাই করে দেদারছে মাংস বিক্রি করছে। এসব পশু জবাই করার ক্ষেত্রে কিছু কসাই ইসলাম শরিয়তের বিধি বিধান না মেনেই তাদের কর্মচারি নিজেই লুঙ্গি গুটিয়ে (মালকুচ্ছা) প্রতিদিন একাধিক পশু জবাই করে থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আর এই মাংস কিনে খাচ্ছেন মুসলমানরা।

সেই মাংস খাওয়া হালাল না হারাম এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আদমদীঘি উপজেলা সমন্বয় ও আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় বারবার গবাদিপশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে বিধি মেনে চলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হলেও রহস্যজনক ভাবে অদ্যবধি বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।

উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, কসাইদের প্রশিক্ষন দিয়ে পশু জবাইয়ের আগে তার শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হলেও তারা মানতে চায়না। কসাই বেলাল দাবী করেন তারা বিধিমতে পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করে থাকেন।

আদমদীঘি হযরত বাবা আদম (রহঃ) মাজার হাফেজীয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও থানা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওঃ আল হেলাল জামালি বিটিসি নিউজকে জানান, পশু জবাই কালে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক না হলে তা খাওয়া যায়েজ হবেনা। অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.