চট্টগ্রাম ব্যুরো: রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে স্বপ্নের এ রেললাইনের উদ্বোধন হবে। এটি পুরো দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের প্রকল্প।
বন্যায় ক্ষতি হওয়া রেললাইনের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ বন্যায় রেললাইনের তেমন ক্ষতি হয়নি। রেললাইনের মাত্র ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে কিছু কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতি হওয়া রেললাইন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছবি দেখে মনে করেছিলাম রেললাইন বেঁকে গেছে। এ জন্য সরেজমিন দেখতে এসেছি। এখন দেখলাম কোথাও রেললাইন বেঁকে যায়নি। বন্যার পানিতে পাথর সরে যাওয়ায় লাইন কোথাও ঝুলছে আবার কোথাও সামান্য দেবে গেছে।
মূল রেললাইনের কোথাও বেঁকে গেছে বলে আমার মনে হয়নি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে আসলে বাঁকা হয়নি। টেকনিক্যাল টিম হয়তো আরও ভালো বলতে পারবে। ঠিক কী কারণে এ রকম হয়েছে। যদি সত্যি লোহা বেঁকে থাকে তাহলে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের সংস্কারকাজ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পরিদর্শন করে যাচ্ছি। টেকনিক্যাল টিম এটা নিয়ে কাজ করতেছে। আমরা তাদের নিয়ে বসব। কারিগরি দিক থেকে এর সমাধান কী তা এ মুহূর্তে বলতে পারব না। টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বসলে জানতে পারব প্রকৃত কারণ এবং সমাধানের পথ কী? এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
রেললাইনে ব্রিজ-কালভার্ট কম হওয়ায় বন্যার পানি বেশি হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা নিশ্চিত করতে চান, কোনো কিছুর জন্য জনগণের যেন ভোগান্তি না হয়। রেলওয়ে যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেয়, তখন সেখানকার বিগত ১০০ বছরের নদীর গতিপথ, জোয়ার ভাটা, জীব বৈচিত্র্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়। এ রেললাইন প্রকল্পে যা ছিল তার চেয়ে ৪০টি ব্রিজ কালভার্ট বেশি করা হয়েছে। জনগণের দাবি এবং কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি যে এখানে কালভার্ট ব্রিজ বাড়ালে ভালো হবে, তখন সেখানে বাড়িয়ে দিয়েছি। আজ এখানে আসার পর আমরা আলোচনা করছি যে তেমুহনী এলাকায় আরও কয়েকটি ব্রিজ কালভার্ট করে দেব। ভবিষ্যতে যাতে বন্যার পানি নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এরচট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স.ম.জিয়াউর রহমান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.