বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: কার্তিকের পড়ন্ত বিকেল। চামাউড়া বিলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সড়কটি এখনও জলমগ্ন। সেই সড়কে কোমর পানি ভেঙে বাড়ি ফিরছেন আহরন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। বিল বন্দোবস্ত নিয়ে বাঁধ দেওয়ায় এ পথের খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বিল নিয়ে স্থানীয় রবিন মিয়া ও শামসু মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান। সম্প্রতি জেলা বিজ্ঞ জজ আদালত বিরোধপূর্ণ বিলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। কিন্তু রবিন মিয়ার পক্ষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিলে বাঁধ দেওয়ায় এ জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আহরন্দ গ্রামের বিলের পাশেই আখাউড়ার উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের মধুপুর গ্রাম। পাশাপাশি হওয়াই ওই গ্রাম থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহরন্দ গ্রামের স্কুলে এসে পড়াশোনা করেন। বর্ষা মৌসুমে তারা নৌকায় করে আসা যাওয়া করেন। শীত মৌসুমে বিল শুকিয়ে গেলে পায়ে হেটে আসেন। সম্প্রতি বিল বন্দোবস্ত নিয়ে বাঁধ দেওয়ায় খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানিতে ভিজেই তারা প্রতিদিন স্কুলে আসছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিকেল ৪টার পর স্কুল ছুটি হলে ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী পায়ের জুতা হাতে নিয়ে ও স্কুলের ব্যাগ বহন করে কোমর পানিতে ভিজেই বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার জলে পরিপূর্ণ এই হেলিডে (বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে থাকে ও শীতে ব্যবহার উপযোগী যে সড়ক) পথ অতিক্রম করে বাড়িতে ফিরছেন।
আহরন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিনয় মোহন দাস বলেন, আমরা ছোট ডিঙ্গি নৌকা দিয়েই বিল পারাপার হতাম। ১২ দিন ধরে খেয়া পারাপারের জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে কোমর পানিতে ভিজেই স্কুলে যাচ্ছি।
আরেক ছাত্রী মিথিলা রানী দাস বলেন, প্রায় দেড় কিলোমিটার পানি ভেঙে স্কুলে আসছি। আমাদের পরনের কাপড় ভিজে যায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.