খুলনা ব্যুরো: খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে ৭ জন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৩ দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা ১১টা থেকে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের ১৪৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।এর আগে ১৬ মে খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে ৭ মেয়র প্রার্থীসহ ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, কেসিসি নির্বাচনে মেয়রপদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
তিনি আরও জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে সমর্থন করা ৩০০ জন ভোটারের নাম ও তাদের স্বাক্ষর দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, এস এম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমা দেন। সে কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।
স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ জন সমর্থকের তথ্য আমাদের জমা দিতে হয়েছে। যারা এখানে সমর্থন দিয়েছে, তাদের জানিয়েই আমরা এটা দিয়েছি। আমার জায়গা থেকে প্রত্যেকের কাছ সশরীরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম তারা করেছে। যে তিন জনের নাম বলা হয়েছে যে তারা সমর্থন করেননি সেই তিনজনই আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত। তাদের সাথে গতকালই আমার কথা হয়েছে, তারা জানিয়েছে যে তদন্ত কমিটি তাদের কাছে গিয়েছে, তারা নিশ্চিত করেছেন তারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। যদি কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে আপিলের মাধ্যমে আশা করি প্রার্থিতা ফিরে পাব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান বলেন, ছোট কিছু ভুল হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করলেই প্রার্থিতা ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।
জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন বলেন, প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে আপিল করব। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাব বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.