খুলনা ব্যুরো:খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবিতে খুলনার অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা সেতুর (খানজাহান আলী সেতু) টোল প্লাজা অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে ‘সচেতন ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে এই অবরোধ শুরু হয়।
অবরোধস্থলে দেখা গেছে, রূপসা উপজেলা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের কয়েকজন আন্দোলনকারীকেও সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সেতুর দুই পাশে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। টানা বৃষ্টির মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ঘটনাস্থলে দীর্ঘ সময় কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিটিসি নিউজকে জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রূপসা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা টোল প্লাজার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। তাদের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা খায়রুল ইসলামকে। এরপর বিকাল ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ ও অন্য কয়েকজন উপস্থিত হলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা স্থান ত্যাগ করেন।
অবরোধস্থলে ইজিবাইকে মাইক বসিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) অবরোধ অব্যাহত ছিল।
এর আগে বুধবার থেকে কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে খুলনা শহরের খানজাহান আলী সড়কে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
তবে গতকাল সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের আরেক অংশ ও সমমনা ৭টি সংগঠন দাবি করে—এই আন্দোলন একটি ‘মহল বিশেষের প্ররোচনায় পরিচালিত হচ্ছে’ এবং তারা নিজেদের কর্মসূচি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ান।
অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বিটিসি নিউজকে বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিংবা আইজিপি—কোনো মহলের কাছ থেকে এখনও আমাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রূপসা সেতু অবরোধ করেছি।”
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.