কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার টলটলিপাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালিয়ে তিন লক্ষ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়িসহ একটি সিএনজি জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নকল আকিজ বিড়ি ও কমদামী অবৈধ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। জেলার দৌলতপুর উপজেলার টলটলিপাড়া থেকে একটি সিএনজিতে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এর কাস্টমস সুপার কে এম খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে কাস্টমসের একটি চৌকস টিম দৌলতপুর উপজেলার টলটলিপাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় একটি নম্বরবিহীন সিএনজি থেকে নয় বস্তায় তিন লক্ষ (৩,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় সিএনজিসহ চালককে আটক করা হয়েছে। অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল বিড়ি ও সিএনজি কাষ্টমস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক সিএনজি চালক বিটিসি নিউজকে জানান, দৌলতপুর উপজেলার টলটলিপাড়া গ্রামের গ্যাদা মিয়া তার সিএনসিতে করে নকল আকিজ বিড়ি সোনাইকুন্ডিতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।
কাস্টমস সুপার কে এম খালেকুজ্জামান বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল আকিজ বিড়িসহ একটি সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। সিএনজি চালককেও আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত গ্যাদা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.