কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি: ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন শিক্ষকরা

খুলনা ব্যুরো: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে ৭ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হলে তারা প্রশাসনিক সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানান কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষকরা অপমানিত হয়েছি। এর বিচার না হলে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব না।”
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার,
২. ক্যাম্পাসে শিক্ষক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ,
৪. অপ্রত্যাশিত ঘটনা রোধে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা,
৫. পূর্বঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ।
এর আগে সকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হযরত আলীর উপস্থিতিতে কুয়েট অডিটোরিয়ামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এই আলোচনা।
বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা চান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু হোক।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ২৫ এপ্রিল উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। পরে ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেননি। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.