কুমিল্লায় ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া ‘জিনের বাদশা’র ৩ সহযোগী কারাগারে

কুমিল্লা ব্যুরো: ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে কম সময়ে বড়লোক হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বেশ কয়েকজন নারীর ৩০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়া ‘জিনের বাদশা’ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর উপজেলার রামনাথপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে রবিবার রাতে কুমিল্লা নিয়ে আসে।
আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দপুর উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের মো. পারভেজ (২২), আফজল হোসেন (৩০) ও আরিফ মিয়া (৩৪)।
মামলার অভিযোগ ও বাদীর বরাত দিয়ে জেলা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বরল গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার জিনের বাদশা পরিচয়ের এক প্রতারকের প্রলোভনে পড়ে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে তিনি নিজের এবং স্বজনদের কাছ থেকে আনা ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার কথিত জিনের বাদশার পাঠানো প্রতিনিধির হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে এ বিষয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় মামলা করেন।
সম্প্রতি মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবির এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাইবান্ধার রামনাথপুর গ্রাম থেকে কথিত জিনের বাদশার ৩ সহযোগী পারভেজ, আফজল হোসেন ও আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে জিনের বাদশা দলের সক্রিয় সদস্য এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা প্রতারণা করে নেওয়া ওই স্বর্ণালঙ্কার কথিত জিনের বাদশার হাতে তুলে দিয়েছে এবং এসব স্বর্ণ সে (জিনের বাদশা) বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
সোমবার বিকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করার পর বিচারক তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী কথিত জিনের বাদশাসহ সঙ্গীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান আব্দুল্লাহ আল মানছুর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.