কারাবাখে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী চায় আর্মেনিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধপূর্ণ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে এতদিন মধ্যস্থতা করে আসছিল রাশিয়া। সেখানে দুই হাজার শান্তিরক্ষী রয়েছে মস্কোর। তবে সম্পর্কে অবনতির জেরে এবার রাশিয়ার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছে আর্মেনিয়া। দীর্ঘদিনের এই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে অবিলম্বে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার কারাবাখে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয় আজারবাইজান। সামরিক অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আর্মেনীয়রা আত্মসমর্পণে রাজি হলে কারাবাখের ওপর সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। একই সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও এখেনো আশ্বস্ত হতে পারেননি আর্মেনীয়রা।
গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মিরজোয়ান বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখে একেবারে মাঠপর্যায়ে মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে সেখানে জাতিসংঘের একটি আন্তঃসংস্থা মিশন মোতায়েনে সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
কারাবাখ সংকটের পর রাশিয়ার ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠ মিত্র আর্মেনিয়ায় রুশবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। এ সংকটের জন্য রাশিয়ার বিশ্বাসঘাতকতাকে দুষছেন তারা। এ কারণে ক্ষোভ থেকে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে রুশ দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ করেছেন তারা। জনগণের এই ক্ষোভে ঘি ঢেলেছেন আর্মেনিয়ার পশ্চিমাপন্থি প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।
কারাবাখ সংকটের পরপর নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় একমাত্র রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে ভুল করেছেন। কারবাখে দুই হাজার রুশ শান্তিরক্ষী তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার কথা উল্লেখ করে দেশের নিরাপত্তা অংশীদার বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.