কারাবন্দি চোর-খুনিদেরও যুদ্ধে যাওয়ার ‘আদেশ’ পুতিনের!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধে অন্তত ৫০ হাজার কারাবন্দি চোর ও খুনিকে নিয়োগের চেষ্টা করছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওয়াগনার গ্রুপ নামে পরিচিত ভাড়াটে সংগঠনের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ইউক্রেন যুদ্ধে কারাবন্দিদের নিয়োগের চেষ্টা করেছেন বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 
প্রতিবেদনটি এমন একটি দিনে সামনে এলো যখন পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ‘সেনা সমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার জন্য গণভোটের পরিকল্পনাকে সমর্থনও করেছেন তিনি। এ সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, তিনি রাশিয়াকে রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। আর তার এই কথা কোনো ধাপ্পাবাজি নয়।
রাজধানী মস্কো থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে তানবোভ অঞ্চলের একটি পেনাল কলোনির একজন বন্দি দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ইয়েভগেনি প্রিগোজিন একটি হেলিকপ্টারে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে তিনি সত্যিই আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু তিনি সত্যিই আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন: সশরীরে উপস্থিত প্রিগোজিন আমাদের ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি গ্রুপে যোগ দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে, প্রিগোজিনের মতো একজন ব্যক্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমস ওই ভিডিওর উপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান রাগারে গিয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বন্দিদের উদ্দেশে বলছেন, যারা তার গ্রুপের জন্য ছয়মাস কাজ করবে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হবে। ওয়াগনার গ্রুপ ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করে আসছে বলে ধারণা করা হয়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২০ জন বন্দি ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে রাজি হয়েছে। এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পর তারা এখন ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে বলেও দাবি করেছে গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সব বন্দিদের ছয়মাস পরে সাধারণ ক্ষমা ও মাসে এক লাখ রুবল বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.