কামারখন্দে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর ২ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে গোসল করতে নেমে ৩ বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর ২ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে রাজশাহী ডুবুরী দলের সদস্যরা। এর আগে, নিখোঁজের তিন ঘণ্টার মাথায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাফিন ইসলাম (১৫) নামের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই এলাকা থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া স্কুল শিক্ষার্থীরা হলেন, সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর মহল্লার ইমরুল হাসান সোহেলের ছেলে সারজিল (১৬) ও বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫)। তারা সবাই সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঝাটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর নাতি জারিফের পাঁচ বন্ধু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে তারা ছয়জন বিকেলের গিকে স্থানীয় ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামলে একপর্যায়ে তিনজন নদীতে ডুবে যায় এবং অপর তিনজন সাঁতরে উঠে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাফিন ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে সারজিল ও দুপুর ১২ টার ১০ মিনিটে কৃষ্ণ নিয়োগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মণ্ডল বিটিসি নিউজকে বলেন, নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। অভিযান চলাকালে শনিবার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরের নিখোঁজ দুই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নদীর পানির গভীরতা ২৫ থেকে ৩০ ফুট হওয়ায় নিখোঁজদের সন্ধান পেতে সময়ের বেগ পেতে হয়েছে। শনিবার রাতে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী ডুবুরি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেসুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, নিখোঁজের পরর থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ নিখোঁজ আত্মীয়স্বজনেরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। উদ্ধার হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি মো: সুলতান হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.