কসবায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ওই দিন রাতেই পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। পুলিশ ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন, কসবা পৌর এলাকার ইমামপাড়া এলাকার শেখধন মিয়া (২৩) এবং কৃষ্ণপুর এলাকার সুমন মিয়া (২২)। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল সকালে ব্রা?হ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তাকে কসবা পৌর এলাকার গুরুহিত গ্রামের রনি মিয়া (২২) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। গত ২০শে জুলাই ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার যাওয়ার জন্য তার বাড়ি থেকে বের হয়ে নোয়াপাড়া মিরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রনি মিয়া তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

পরে তাকে গোপীনাথপুর এলাকার বড়ঠুডা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে আটকে ওই স্কুলছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেখধন ও সুমন মিয়ার সহযোগিতায় রনি মিয়া ৬ দিন তাকে ধর্ষণ করেন। ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারের পর ৬ দিন পর রনি মিয়া ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে গত ২৫শে জুলাই গভীর রাতে তাদের বাড়ির সামনে ফেলে যান।

পরে স্কুলছাত্রীর পরিবার তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে রনি মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ শুক্রবার রাতে মামলার দুই নং আসামি শেখধন মিয়া ও ৩নং আসামি মো. সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও ১নং আসামি রনি মিয়া পালিয়ে গেছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। মাদ্রাসা ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.