বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে আলোচনা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। এরমধ্যে জানা গেছে, জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস যেসব কঠিন শর্ত দিয়েছিল— সেগুলো থেকে তারা সরে এসেছে।
এর আগের আলোচনায় হামাস শর্ত দিয়েছিল, যদি ইসরায়েল তাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে— গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে এবং কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
তবে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-শার্ক জানিয়েছে, হামাস এখন নমনীয় হয়েছে। তারা প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
প্রথম ধাপে হামাস ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর বদলে দখলদার ইসরায়েল ৩০০ থেকে ৪০০ ইসরায়েলি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
তবে হামাস দাবি জানিয়েছে, গাজার জনবহুল অঞ্চলগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে হবে। সাধারণ মানুষকে তাদের ঘর-বাড়িতে ফিরতে দিতে হবে।
গাজায় স্থল হামলা শুরুর পর উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় সব মানুষকে সরে যেতে বাধ্য করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে বর্তমানে ১৩০ ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে সবাই জীবিত নেই। যারা এখনো জীবিত আছেন তাদের মধ্য থেকে নারী, বয়স্ক ও অসুস্থদের আগে মুক্তি দেবে হামাস।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রমজানের শুরু থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
গাজার বেশিরভাগ মানুষ এখন রাফাহতে অবস্থান করছে। ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি রমজানের শুরুর আগে জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে।
ইসরায়েলি অপর সংবাদমাধ্যম চ্যানেল চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে টেলিফোনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে পারে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.