বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: পজেশন ধরে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও শুরু থেকে আধিপত্য করল লিভারপুল। প্রথমার্ধে তাদের আটকে রাখতে পারলেও, বিরতির পর আর পারল না রেয়াল মাদ্রিদ। শিরোপাধারীদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল আর্না স্লটের দল।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতল লিভারপুল। ১৫ বছরের বেশি সময় পর রেয়ালের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল ইংলিশ ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আলেক্সিস মাক আলিস্তের স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর পেনাল্টি মিস করেন কিলিয়ান এমবাপে। মিনিট দশেক পর একই অভিজ্ঞতা হয় মোহামেদ সালাহর। বদলি নেমে লিভারপুলের দ্বিতীয় গোল করেন কোডি হাকপো।
রেয়ালের বিপক্ষে লিভারপুলের সবশেষ জয়টিও ছিল এই অ্যানফিল্ডেই। ২০০৯ সালের মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতে, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল লিভারপুল। তারপর থেকে এবারের আগে দুই দলের ৮ বারের দেখায় ৭টিতেই হারে লিভারপুল, ড্র হয় একটি; সবগুলিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, যার মধ্যে আছে দুটি ফাইনালে হারের বিষাদও।
দীর্ঘ সেই অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে অবশেষে জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়তে পারল লিভারপুল। চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচের সবগুলিই জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠল স্লটের কোচিংয়ে দারুণ ছন্দে থাকা দলটি।
অন্যদিকে, শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে নেমে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই হারল রেয়াল। ৬ পয়েন্ট নিয়ে ২৪ নম্বরে নেমে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচে লিভারপুলের দাপটের চিত্র মেলে পরিসংখ্যানেও। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৭টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে তারা। সেখানে রেয়ালের ৯ শটের কেবল ৩টি লক্ষ্যে ছিল।
মৌসুমে দুই দলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ফেভারিট তকমা নিয়েই এই ম্যাচ খেলতে নামে লিভারপুল। প্রতিপক্ষের ভুলে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত তারা। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দারউইন নুনেসের নেওয়া শট থিবো কোর্তোয়া ঠেকিয়ে দিলেও, রাউল আসেন্সিওর পায়ে লেগে বল জালে জড়াতে যাচ্ছিল, স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার নিজেই ক্লিয়ার করেন গোললাইন থেকে।
২৩তম মিনিটে কোর্তোয়ার দৃঢ়তায় ফের বেঁচে যায় রেয়াল। নুনেসের প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। ৩৩তম মিনিটে মাক আলিস্তেরের ক্রসে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
চোটের কারণে ভিনিসিউস জুনিয়রকে ছাড়া খেলতে নামা রেয়াল প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৫টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। এই সময়ে লিভারপুলের ৬ শটের তিনটি লক্ষ্যে ছিল, সবগুলোই ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে আরেকবার লিভারপুলের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান কোর্তোয়া। কনর ব্র্যাডলির হেড ফিরিয়ে দেন তিনি। পরের মিনিটে তিনি আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি। অ্যানফিল্ডকে উল্লাসে ভাসান মাক আলিস্তের। ব্র্যাডলিকে বক্সের বাইরে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। ফিরতি পাস পেয়ে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.