একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব সীমান্তে জাপান সাগরে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী জাপান সাগরে একের পর এক স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বৃহস্পতিবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, পিইয়ংইয়ং বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্বাঞ্চলের উপকূলে অন্তত ১০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়ার এ আচরণকে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি জাপানও নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, জাপানের সমুদ্রসীমার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ধরনের উসকানিমূলক আচরণেরও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র থেকে মুক্তে করা ইস্যুতে বৈঠক করেছেন চীন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তার। এ জোটের সবশেষ ২০১৯ সালে বৈঠক হয়েছিল।
সোমবারের এ বৈঠকের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে পিইয়ইয়ং। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ ঘটনাকে গভীরভাবে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নিজেদের পরামাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশগুলোর এমন আচরণ তারা প্রত্যাশা করে না বলেও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ২৭ মে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে আরও একটি ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। কিন্তু উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মাথায় সেটি সাগরে ভেঙে পড়ে।
কেসিএনএ জানায়, ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহটি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এবারই প্রথম ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে তরল অক্সিজেন-পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করেছিল উত্তর কোরিয়া। সেটির গোলযোগের কারণেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সমুদ্রে ভেঙে পড়ে উপগ্রহটি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.