খুলনা ব্যুরো:এই দেশের মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম করছেন, এই সরকার কিছু মানুষকে হত্যা করতে পারবে, গুম খুন গ্রেফতারকরতে পারবে কিন্তু গনতন্ত্রকামী মানুষের জোয়ার ঠেকাতে পারবে না। সরবারি পোশাক পড়া ভাইয়েরা মনে রাখবেন এই দেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় আপনাদের বেতন হয় আপানর অস্ত্র কেনা হয়। মানুষের কথা না ভেবে সরকারের দালালি করবেন কয়দিন পরে সরকার আপনাদের টিস্যুর মত ব্যবহার করতেছে।
বিএনপির বিভাগীয় রোড মার্চ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঝিনাইদহ থেকে খুলনা পর্যন্ত শিশু কিশোর বৃদ্ধ সবার মুখে একটাবই কথা শেখ হাসিনার পতন, খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় আজকের সমাবেশে আসার সময় নেতাকর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। প্রশাসন দেশের মানুষের সেবক শাসক না। একবার ভাবুন দেশ টা আমাদের সকলের আমাদেরই আমাদের দেশকে বাচাতে হবে। দেশের গনতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ২২ আগষ্ট যে চুড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণা করেছেন সেই আন্দোলনের মাধ্যমে এই শৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পরে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেশে সুস্ঠু নির্বাচন হবে। জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তারেক রহমান বিরের বেশে বাংলাদেশে ফিরবেন। ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই গনজোয়ার দেখে মনে হয়না দেশে শেখ হাসিনার সরকার রয়েছে। তার মানে দেশ স্বাধীন খুবই সন্নিকটে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেযারপার্সনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শেখ সোহরাব উদ্দিন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, ডঃ ওবায়দুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,মাহমুদ হাসান খান বাবু, অমলেন্দু দাস অপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আমির এজাজ খান, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু। মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী আলম, নুরুল ইসলাম নয়ন, রাশেদ ইকবাল খান, সাইদুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা শিববাড়ী মোড়ে পাবলিক হল চত্ত্বরে এসে পৌছায় রোড মার্চ। দুপুর থেকে সমাবেশ স্থলে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে উপস্থিত হয়। পশ্চিমে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল, উত্তরে নিউমার্কেট ও দক্ষিণে তেতুল তলা মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। দুপুর থেকে প্রতিবাদী গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থিত কর্মীদের চাঙ্গা রাখেন জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) এর শিল্পিরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় মাগুরায় পৌঁছায়।
এরপর যশোর মুরলী বাবুর মোড়, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় পথসভা করে খুলনা পৌছায় রোড মার্চ, খুলনার ফুলতলা ও দৌলতপুরে পথসভার পর খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে পাবলিক হল চত্ত্বরে পৌছায়। রাত পৌনে ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাবশের কার্যক্রম শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘খুলনাবাসী লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে এই সরকারকে লালকার্ড দিয়েছে। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তার সভাপতির বক্তৃতা শেষ করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.