বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সামরিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের জন্য ১১ জুনের মধ্যে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তবে দেশোটির প্রথম মহাকাশ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময় সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জাপানের ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদেরও।
কোরীয় উপদ্বীপে ঝুঁকি অনেক বেশি, যেখানে দুই দেশের মধ্যে ৭০ বছর ধরে উত্তেজনা চলছে।
সিউলে বসবাসরত ৩৩ বছর বয়সী মা কিম বিবিসিকে বলেন, জরুরি সতর্কতা পাওয়ার পর তিনি খুব ভয় পেয়েছিলেন এবং বের হওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে নিতে শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যুদ্ধ হবে। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধের পরে এটি আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে যে, উত্তর কোরিয়া বা চীন আক্রমণ করতে পারে। বিমান হামলার সাইরেন শুনলেই তিনি মনে করেন পিয়ংইয়ং আক্রমণ শুরু করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রকেটটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়তে পাড়েছে, অথবা রাডারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পর বিধ্বস্ত হতে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে মনে হচ্ছে। সরকার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে। উৎক্ষেপণের পর এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে জাপান জানিয়েছিল, তাদের ভূখণ্ডের জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোনো কিছু ভূপাতিত করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিয়ংইয়ংয়ের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবের বিপরীত।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সামরিক স্যাটেলাইটের উন্নয়নকে তার দেশের প্রতিরক্ষার মূল উপাদান হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সিউলের ইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিফ-এরিক ইসলি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সরকার সম্ভবত মহাকাশ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের বর্তমান স্যাটেলাইট মিশন সফল হোক বা না হোক, তারা মহাকাশ সক্ষমতা সম্পর্কে রাজনৈতিক প্রচারণা চালাবে বলে মনে হচ্ছে। (সূত্র: রয়টার্স)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.