উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু হত্যার মূল আসামী রবিউল পুলিশের সাথে বন্দকযুদ্ধে নিহত

 

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নান্টু হত্যার মূল শুটার ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কাইল্লা পলাশের সহযোগী রবিউল ইসলাম পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ৩ টায় উপজেলা জল্লা ইউনিয়নের পিরেরপাড় এলাকার ফুলতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। ৭ নভেম্বর সোমবার হত্যার ঘটনায় জড়িত ঢাকা মোহাম্মদপুর একটি বাসা থেকে ৮ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে মূল হত্যাকারীর নাম।

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১২ নভেম্বর সোমবার রাত ৮ টায় মাদারীপুর বাসস্টান্ড থেকে কালকিনি উপজেলার কুকরিরচর গ্রামের কালা চাঁন এর ছেলে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রবিউল ইসলাম(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিউলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিনসহ পুলিশের একটি চৌকস দল। পীরেরপাড়ের ফুলতলা নামক স্থান অতিক্রম করার সময় রবিউলের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় রবিউল গুলিবৃদ্ধ হয়। এতে পুলিশের ২ কনষ্টেবল হুমায়ুন কবির ও রুবেল গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত রবিউলকে উজিরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত ২ পুলিশের কনস্টেবলকে বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ সময় সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি রামদা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানান, নিহত রবিউল ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কাইল্লা পলাশের প্রধান সহযোগী। তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ৬টি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য ২০ সেপ্টেম্বর জল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে পৌনে ৯ টায় কারফা বন্দরে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা শুকলাল হালদার বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামী করে ২১ সেপ্টেম্বর উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ এজাহারভূক্ত মামুন শাহ, রাব্বী, কুদ্দুস, হাদী, দিপু, পান্না মেম্বরসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল বিটিসি নিউজকে জানান, জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নান্টু হত্যার মূল শুটার পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তাকে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নান্টুর পিতা মামলার বাদী শুকলাল হালদার তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, সন্ত্রাসী রবিউল ভাড়াটিয়া খুনি।

সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় আমরা খুশি, তবে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতাদের আইনের আওতায় এনে তাদেরকেও উপযুক্ত শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.