উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে লম্পট কর্তৃক শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী অভিযুক্তর পরিবারে হুমকী অব্যাহত। এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি।
এ ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় লম্পটসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগী শিশুর পরিবার।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার দক্ষিন সাতঁলা গ্রামের প্রবাসী মোঃ পল্টু খাঁনের ছেলে সুমন খাঁন(২৬) গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে একই গ্রামের ২য় শ্রেনীতে পরুয়া নূরানী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে পানি খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে মুখ চেঁপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় নাবালিকা শিশুটি চিৎকার করলে তার মাতা ঘটনাস্থল ছুটে আসার টের পেয়ে লম্পট সুমন খাঁন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায় সুমন খাঁন, ওই ছাত্রীর বাবা ড্রেজার ব্যবসায়ীর কর্মচারী ছিল। এ সুবাদে তাদের বাড়ীতে সুমনের আনাগোনা ছিল। ঘটনার সময় তার মা বসত ঘরের সম্মুখে রান্না ঘরে ছিল। এ সুযোগেই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ওই লম্পট। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার পায়তারা চালায়।
এছাড়াও সুমনের বাবা পল্টু খাঁন,চাচাঁতো ভাই সোহাগ খাঁন ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে মামলা না করার জন্য তাদের বাড়িতে ঢুকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয়। এব্যাপারে গত বৃহষ্পতিবার উজিরপুর মডেল থানায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে লম্পট সুমন খাঁন ও তার বাবা পল্টু খাঁন এবং চাচাঁতো ভাই সোহাগ খাঁনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
উজিরপুর উপজেলা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে শিশুটির বাবা জানান, আমার নাবালিকা মেয়েকে ওই লম্পট জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। এছাড়াও আমাকে মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দেয় প্রভাবশালীরা।
এ ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্তরা পালিয়ে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার উজিরপুর মডেল থানার এস.আই কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.