উজিরপুর প্রতিনিধি:বরিশাল জেলার উজিরপুরে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানিসহ মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও আহত সুত্রে জানা যায় উপজেলার দক্ষিন সাতলা গ্রামে মসজিদে ইফতার দেয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্ধের জেরে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও হামলা চালিয়ে ৩ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সাতলা জামে মসজিদে ওই এলাকার মোঃ নুরু হাওলাদার রোজাদারদের জন্য ইফতার নিয়ে পৌঁছা মাত্র তার ভাই ছয়েদ হাওলাদার তাকে মসজিদথেকে বের করে দেয় এবং কিছুক্ষন পরেই নুরু হাওলাদারের উপর অতর্কিত হামলা চালায় তার ভাই ছয়েদ হাওলাদার ও তার জামাতা মামুন হোসেন, ছেলে সুমন হাওলাদার,সুজন হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার।
এসময় প্রতিবাদ করলে নুরু হাওলাদারের ছেলে মোঃ নাজমুল হাওলাদার ও নাবালিকা মেয়ে স্বর্না আক্তারকেও মারধর করে এবং তার স্ত্রী জরিনা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয় ও লজ্জা স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপা আঘাত করে অচেতন করে ফেলেছে। পরিবারের লোকজন জরিনা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এছাড়াও তার ছেলে নাজমুল হাওলাদারকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহত দিনমজুর নুরু হাওলাদার ও মেয়ে ৭ম শ্রেনির ছাত্রী স্বর্না আক্তার এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
২৮ মার্চ মঙ্গলবার হামলার ঘটনায় নুরু হাওলাদার বাদী হয়ে উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এ ব্যপারে আহত গৃহবধূ জরিনা বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, ওই মাদকসেবী সন্ত্রাসিরা আমাকে শুধু শ্লীলতাহানি করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, আমাকে হত্যা করার জন্য আমার বুক ও লজ্জা স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেকায়দায় চাপা আঘাত করেছে।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ওই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.