ঈশ্বরদীতে অজ্ঞান করে ধর্ষণ, অতঃপর ১৭সপ্তাহের বাচ্চা ফেলে দেওয়া হয়
ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার: ঈশ্বরদীর পূর্ব টেংরি গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীকে ঈশ্বরদী আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লম্পট আব্দুল হাকিম কর্তিক অনৈতিক কাজের দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায় ঈশ্বরদী আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লম্পট হাকিম যে ঘটনাটি ঘটেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা হার মানিয়ে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
ঈশ্বরদীর আকলিমা সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার রাবেয়া বসরীর স্বাক্ষরিত প্যাডে লিখিত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গেছে গত ৪/২/ ২০২০ ইং তারিখ ঈশ্বরদী পূর্ব টে;রি গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীর পেটে ১৭ সপ্তাহের 0.17gm (+২০০ gm) গ্রাম ওজনের বাচ্চা জীবিত রয়েছে।
এ রিপোর্টের খবর ঐ ছাত্রীর বাবা ও মা জানতে পেরে হতাশা হয় পরে। বিয়ে না দিতেই সন্তানের পেটে বাচ্চা। সন্তানকে ক্লিনিক থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাসায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার মা ও বাবা।
জিজ্ঞাসা অন্তে ওই ছাত্রী তার বাবাকে জানায় তাদের বাসার পাশেই ঈশ্বরদীর আলহাজ মোড়ে “আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের “স্বত্বাধিকার ডাক্তার শামীম হোসেনের ক্লিনিকের ম্যানেজার লম্পট আব্দুল হাকিম তার রুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর শরীর দুর্বল জ্বর জ্বর ভাব বলে লম্পট হাকিম তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করেন।
সেখানে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে কয়েক ঘন্টা পড়ে থাকে। এই অজ্ঞান অবস্থায় ছাত্রীটিকে কি করেছে ওই লম্পট হাকিম তা সে নিজে বলতে পারে না। দরিদ্র পিতা-মাতা বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে আত্মসম্মানের ভয় চেপে থাকে।
এদিকে এই ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই উক্ত ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় ছাত্রীর বাবা ও মা আলহাজ্ব মোড় আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই লম্পট প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিমের কাছে যায়। সেখানে হাকিমকে ছাত্রীর শরীর এমন কেন হচ্ছে জানালে লম্পট হাকিম তাকে ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়।
এতেও যখন কাজ হয় না মেয়েটি আস্তে আস্তে তার শরীর স্বাস্থ্য ভালো হতে থাকে। একপর্যায়ে ওই লম্পট আব্দুল হাকিম “আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের” স্বত্বাধিকার শামীমের পরামর্শক্রমে লালপুর উপজেলার মুক্তি ক্লিনিকে নিয়ে ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে তার পেটের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
এঘটনার পর থেকে লম্পট প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে একটি মহল টাকার বিনিময়ে উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যাওয়া প্রতিবেশী নুর ইসলাম নামে এক যুবককে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে সে জানিয়েছে এই প্রতিবেদককে।
নুর ইসলাম আরও জানায় কেন বাচ্চা হত্যা করা হয়েছে তার বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে আমরা অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনা) রিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.