BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- বৃহস্পতিবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইসলামপুরে রাক্ষসী যমুনা নদী ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের

ইসলামপুরে রাক্ষসী যমুনা নদী ভাঙনে চার শতাধিক বাড়ীঘর বিলীন, আতঙ্কে দিন কাটছে দূর্গম চরের মানুষদের

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: রাক্ষসী যমুনা নদী ভাঙনে আতঙ্কে দিন কাটছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়ার চর গ্রামের মানুষদের। গত কয়েক দিন থেকেই অসময়ে রাক্ষসী যমুনা ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে একটি মসজিদ, প্রায় শতাধিক একর জমি ও চার শতাধিক বসতঘরসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ৮ কোটি টাকার সোলার প্যানেল, মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়, মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মাদ্রাসা, আটটি মসজিদ, ফসলি জমি, বসতঘরসহ সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা।

দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মন্নিয়ার চর গ্রাম। এলাকাবাসী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয়রা বলেন, রাক্ষসী যমুনার ভাঙ্গনে বিগত দিনে ্ধসঢ়;গ্রামকে গ্রাম বিলীন হয়ে গিয়েছে। অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আগ্রাসী যমুনা এক মাস আগেও অনেক দূরে ছিল। এখন ভাঙতে ভাঙতে অনেকগুলো বাড়ীঘর বিলীন হয়ে গিয়েছে। মন্নিয়া গ্রাম ষমুনা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় গত সপ্তাহে কয়েক গ্রামের মানুষ মানববন্ধন করেছি।

মন্নিয়া উচ্চ বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় থেকে মাত্র কয়েক শত গজ দূরে নদী। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নিলে কয়েক দিনের মধ্যেই বিলীন হয়ে যেতে পারে একমাত্র ঐতিহ্যবাহী

প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে প্রায় ২শত ৫০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি রক্ষা না হলে এ অঞ্চলে শিক্ষার মান পিছিয়ে যাবে।

শিক্ষার্থী শাকিল আহম্মেদ জানায়, এক মাস পর আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা, প্রতিষ্ঠান যদি ভেঙে যায় তাহলে আমাদের পড়ালেখার মারাত্মক ক্ষতি হবে। শাকিল আহম্মেদ মতো একই কথা বলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিশামনি ও শহীদ মিয়া।

দক্ষিণ মন্নিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার খানাম বিটিসি নিউজকে বলেন- আমার স্কুল থেকে কয়েকশত গজ দূরে নদীর অবস্থান। এই স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই।

বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ বিটিসি নিউজকে বলেন-অসময়ে নদীভাঙন আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে গেছে। এখনই যদি ভাঙন ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, ফসলি জমি ও বসতঘর নদী গ্রাস করে নেবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মমতাজ আকন্দ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার নিজের বাড়ি গত কয়েক মাস আগে যমুনা নদী ভেঙেছে। এখন কোনোমতে টিকে রয়েছি। যে ভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ফসলি জমিসহ অসংখ্য বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান- ইতিমধ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি  জানানো হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ