ইসরাইল একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’: এরদোগান

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, গাজা এবং লেবাননে অব্যাহত বোমাবর্ষণ করতে থাকা ইসরাইল একটি ‘জায়নিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠন’।
বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস এবং ডেভেলপমেন্ট বা একে পার্টির এল সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এরদোগান এ সময় দাবি করে বলেন, গত বছর ইসরাইল একটি রাষ্ট্র এবং একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হওয়ার মধ্যে দ্বিতীয়টিকেই পছন্দ করেছিল এবং এরপর থেকে এটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেই কাজ করছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার ‘হত্যাকারী নেটওয়ার্ক’ ভ্রান্ত ধারণায় রয়েছে এবং একটি খুব বিপজ্জনক দুঃসাহসিকতা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ সময় ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেন, তার ‘প্রমিজড ল্যান্ডের ভ্রম’ তাকে শেষ পর্যন্ত বড় ধরণের হতাশায় সাগরে নিমজ্জিত করবে।
তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, তুর্কিদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না এবং এ অঞ্চলে সম্প্রসারণমূলক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না।
এরদোগান এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তারা সবার সামনে যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলে। অথচ পেছনে বসেই আবার ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কখনোই তাদেরকে ক্ষমা করবে না, যারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু, নারী এবং নাগরিকদের রক্তের জন্য দায়ী দানবকে অভিবাদন জানায়’।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের অঞ্চলের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের আরও আলোচনা করা প্রয়োজন, আমাদের পুনর্মিলন প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে এরদোগান গত বছরে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব, খুব ভালো করেই জানি যে, ফিলিস্তিনি জনগণও মানবতার এবং মুসলমানদের গৌরব রক্ষা করছে’।
ইসরাইল গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলার পাশাপাশি বর্তমানে লেবাননেও বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.