ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ করা ১৩ শিক্ষার্থীর ডিগ্রি ‘স্থগিত’ করল হার্ভার্ড!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের স্নাতকদের ডিগ্রি দেয়া হয়েছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু দীর্ঘ চার বছরের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলেও, এখনো সেই ডিগ্রির জন্য অপেক্ষা করছেন আসমার আসরার সাফি। শুধু পাকিস্তানের সাফি নয়; তার মতো আরও ১২ জন শিক্ষার্থী এখনো অপেক্ষা করছেন ডিগ্রির জন্য।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, ওই ১৩ জন শিক্ষার্থী বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করলেও অন্তত এক বছর তারা এ ডিগ্রি পাবেন না। এর পেছনে কারণ একটাই- তারা ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত ছিল।
তিন সপ্তাহব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে জড়িত থাকার কারণে গত ২৩ মে অনুষ্ঠিত স্নাতক সমাপণী অনুষ্ঠানে তাদের ডিগ্রি দেয়নি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হার্ভার্ড করপোরেশন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সামাজিক অধ্যয়ন এবং জাতিসত্তা, অভিবাসন ও অধিকার বিভাগের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ২৩ বছর বয়সী সাফি বলেছেন, ‘আমার আবেদনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সাফি আরও বলেন, ‘আমি একজন রোডস স্কলার। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাট্রিকুলেশন করতে পারি কি না, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কারণ, হার্ভার্ডে আমার ডিগ্রি এক বছরের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। আমি আমার প্রোগ্রামের জন্য সব একাডেমিক শর্ত পূরণ এবং আমার ডিগ্রির প্রয়োজনীয়তাও পূরণ করেছি।’
ডিগ্রি না পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী শ্রদ্ধা জোশি। সাফির মতো একই প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আবেদন করার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগের জন্য অপেক্ষা করছি। পুরো প্রক্রিয়ার অস্পষ্টতা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অনুষদ সদস্যরাও বেশ বিভ্রান্ত এবং আপিলের সময়সীমাও অস্পষ্ট। আমরা অস্থিরতায় ভুগছি।’
শ্রদ্ধা অনেক আগে থেকেই যুক্তরাজ্যে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করার কথা ভেবেছেন। কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তিনি। শ্রদ্ধা বলেন, ‘হার্ভার্ড-ইউকে ফেলোশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমার। কিন্তু স্নাতক ডিগ্রি আটকে যাওয়ায় এখন সবই ধোঁয়াশাপূর্ণ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা ও যোগাযোগের ঘাটতির কারণে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটাও অনুমান করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও একাডেমিক স্বাধীনতা এবং গাজায় চলমান ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বিক্ষোভে জড়িয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.