ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২১ জন নিহত

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে তাৎক্ষণিক বন্যা ও ভূমিধসে একটি স্কুলের ১২ শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। তারা বলছেন, বন্যা ও ভূমিধসে মানদায়লিং নাটাল জেলার মুয়ারা সালাদি গ্রামের একটি ইসলামিক স্কুলের ১২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সুমাত্রা প্রদেশের মানদায়লিং নাটাল জেলার পুলিশ প্রধান ইরসান সিনুহাজি বলেছেন, সেখানে বন্যা ও ভূমিধসে মুয়ারা সালাদি গ্রামের একটি ইসলামিক স্কুলের ১২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সির মুখপাত্র সুতপো পুরও নুগরোহো বলেন, উদ্ধারকারী ও গ্রামবাসীরা শুক্রবার ওই স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং ২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন বাঁচাতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পর মাটি ও পাথরের নিচ থেকে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা। পরে শনিবার আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা।

নুগরোহো বলেন, মানদায়লিং নাটাল জেলায় শনিবার সকালের দিকে বন্যার তোড়ে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির ভেতর দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওই এলাকায় বন্যা-ভূমিধসে ১৭টি বাড়ি ধসে পড়ে এবং ১২ বাড়ি ভেসে যায়।

আরও শত শত ঘরবাড়ি দুই মিটার পর্যন্ত উঁচু বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়া ওই অঞ্চলের আটটি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে।

নুগরোহো বলেন, প্রতিবেশী সিবোলগা জেলায় ভূমিধসে ২৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রায় ১০০ ভবন প্লাবিত হওয়ার ঘটনায় চারজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক বন্যায় সুমাত্রা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় তানাহ দাতার জেলায় দুই শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছে।

ভূমিধস ও বন্যায় প্রতিবেশী জেলা পাদাং পারিয়ামান এবং পশ্চিম পাসামানে চারজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। এসময় ৫০০ বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং তিনটি ব্রিজ ধসে পড়ে।

এদিকে সুমাত্রা প্রদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলকে জরুরি ত্রাণ সপ্তাহ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহ ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু ও ডোংগালা জেলায় দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।খবর আল-জাজিরার।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.