বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে ১৩০ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি ব্যয় করেছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, পেছন ফিরে তাকালে, ইউরোপ এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে উরসুলা ভন ডার লেইন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তার মতে, ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্রের ৪৭ শতাংশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবদান এবং প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করে।
ইউরোপীয় কমিশন আগামীবছর শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তার জন্য ইউক্রেনের জন্য ৩০.৬. বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করতে প্রস্তুত।
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, এর আগে কিয়েভ ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে ৯৮% অস্ত্র পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্ট ইউক্রেনের জন্য মার্কিন আর্থিক ও সামরিক সহায়তা হ্রাস করার পক্ষে। ট্রাম্প তার রাজনৈতিক দর্শনে ‘আমেরিকা সবার আগে’ নীতি অনুসরণ করার পক্ষে। তিনি ইউরোপীয় নিরাপত্তায় ন্যাটোর ভূমিকাকে কিছুটা ‘সেকেলে’ বলে অতীতে উল্লেখ করেছেন।
৭ নভেম্বর প্রকাশিত আল জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইউক্রেনকে ৬৪.১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। যদিও বেসরকারি সূত্র মতে, এই সহায়তা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
বলা যায়, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার আগে ইউক্রেন ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ট্রাম্পের যুক্তি, ইউক্রেনের সমর্থনের পুরো ভার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহন করা উচিত নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশেষত রাশিয়ার কাছাকাছি থাকা রাষ্ট্রগুলোর ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য আরও দায়িত্ব নেওয়া উচিত। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.