BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- বুধবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সবুজ সংকেত, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সবুজ সংকেত, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদন পেলেই কিয়েভে পাঠানো হবে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র।

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রর কাছে টমাহক ক্রুজ মিসাইল চেয়ে আসছে ইউক্রেন। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় এক হাজার মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

পেন্টাগনের মূল্যায়ন অনুযায়ী, টমাহক মিসাইল সরবরাহে মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডারে প্রভাব পড়বে না। তাই সরবরাহে হোয়াইট হাউসকে দেয়া হয়েছে সবুজ সংকেত। এখন ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতি পেলেই কিয়েভকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে পারবে ওয়াশিংটন।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন তিনজন মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে।

যদিও ইউক্রেনে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো নিয়ে এখনো দ্বিধাগ্রস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে  ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য যা দরকার, তা অন্যকে দিতে চান না তিনি।

অক্টোবর মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের আগেই পেন্টাগনের জয়েন্ট স্টাফ তাদের মূল্যায়ন হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছিল। জেলেনস্কি রাশিয়ার অভ্যন্তরে আরও কার্যকরভাবে তেল ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করে আসছিলেন।

এই আলোচনার মধ্যেই দোনেৎস্ক অঞ্চলে আক্রমণ জোরদার করেছে রাশিয়া। জেলেনস্কি জানান, পোক্রোভস্ক শহরে ঢুকে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। অঞ্চলটিতে এখন রুশ সেনার সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।

এদিকে, গোপন ঘাঁটিতে নতুন প্রজন্মের ড্রোন তৈরি করছে ইউক্রন। যা রাশিয়ায় গভীরে অবস্থিত তেল শোধনাগার ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে সক্ষম।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা বলছে, এ বছর এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ভেতরে ১৬০টির বেশি তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে রাশিয়ায় ২০ শতাংশ জ্বালানি ঘাটতি এবং ৩৭ শতাংশ রিফাইনিং সক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি কিয়েভের।

যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে সাধারণ মানুষের মৃত্যু। উত্তর ইউক্রেনের ঝিতোমিরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। সুমি শহরে রুশ বিমান হামলায় শিশুসহ কয়েকজন আহত।

জাতিসংঘ বলছে, ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। শুধু ড্রোন হামলাই এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ